আজ তোমাকে ভীষণ ভাবে মনে পড়ছে!তুমি থেকে গেলে যতসব পাগলামি করতাম, ইচ্ছে করছে সব পাগলামি জড়সড় করে একটা আনন্দ আশ্রম গড়ে তুলি। বাহিরে মুষল ধারায় বৃষ্টি নামছে। ইচ্ছে করছে উঠোনে নেমে তোমার আঁচল ধরে ময়ূরের মতো পেখম মেলে নাচি। পৃথিবীর সবাইকে চিৎকার করে জানান দেই,তুমি শুধু আমার, একান্ত ব্যক্তিগত আমার।কিন্তু তুমি আমার ভেতর আঁচল পেতে কল্পনায় বসে থাকলেও, বাস্তবে তুমি অন্য কোথাও অন্য কারো জন্য আঁচল বিছিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছো।
তোমাকে মনে পড়া আমার জন্য আজ পাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তোমাকে মনে পড়ার সকল বারণ এসে হাজিরা দিচ্ছে।তুমি আমার নও,তুমি আর আমার নেই । তোমার শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে দুঃখ মুছে নেওয়া কপালে কলঙ্ক রটেছে। সেই যে বাড়ির আঙিনায় জারুল গাছের মগডালে দুষ্টু কাক ডাক দিলো, সেই থেকে তুমি আমার ব্যক্তিগত তুমি থেকে ব্যক্তিগত দুঃখ শব্দ বোমা! আমার একান্ত ব্যক্তিগত দুঃখ।
এক পায়ে দাঁড়িয়ে যেমন দৌড়ে সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির পেছনে ছুটে গেলে উল্টে পড়ে যেতে হয়। তোমাকে মনে পড়লে আমি তেমন উলটে যাওয়া মানুষ। তুমি ঠিক সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি। তবুও তোমাকে মনে পড়ে, বেহায়া মনে তুমি বারবার উঁকি দেওয়া তারকা। বেহায়া মন তোমাকেই জিজ্ঞেস করে তুমি সুখী তো আমাকে পঙ্গু করে? অথচ তুমি সুখী হবে জানান দিয়েই আমাকে ছেড়ে গেছো চিরতরে।
তোমাকে মনে পড়লে আজকাল আমার ভেতরে বৃষ্টি নামে।বাইরে বৃষ্টি সবাই দেখছে কিন্ত ভেতরের বৃষ্টি কেউ দেখে না, কেউ না। আচ্ছা তুমি দুঃখ চেনো, ব্যথা বুঝো? তবে কেন আমাকে বুঝলে না।