তোমারে ছাড়া আমি যে ভালা নাই,এইডা তোমারে আর আমি ক্যামনে বোঝাইমু?কও...
রাইতে চাঁন্দের দিকে তাকাইলে চোখ ঘোলা অইয়া যায় জলে,খালি তোমার কতাই মনে অয়।বুকের মধ্যি চিনচিন কইরা ব্যথা লাগে,তয় কান্দিবার পারি না।তোমারে ছাড়া আমার অহন যে আর কিচ্ছু ভালা লাগে না–ফাঁকা ফাঁকা লাগে!বুকটা ক্যামন ভারি অইয়া আছে,দ্যাহো।
আইচ্ছা,
একটা কতা কইমু?
ক্যান তোমার লাইগা পরানডা এমন আনচান আনচান করে কইতে পারো?ক্যান তোমার থাইকা দূরে আইলে আমার মনডা পুইড়া ছারখার অইয়া যায়?
রাইতের খাওন,নিদ্রা,চায়ের কড়া লিকারে তিতা কইরা রং চা,ঘরের দুয়ারে-উঠানে বইয়া আকাশের দিকে তাকাইলে যে ঐ চাঁদটারেও আর ভালো লাগে না!যেই হানে যাই,হেনেই অশান্তি।আমি আর কই যামু কইতে পারো?কই গেলে তোমারে দেখবার পারুম দুই চোখ ভইরা?
বিশ্বাস করো,
তোমারে এক নজর দেখবার পারলেই যে আমার সব অশান্তি দূর অইয়া যাইবো,পরানডা শীতল অইয়া যাইবো।মেলা দিন তোমারে দেহি না!
মেলা শক্ত কইরা তোমার বুকের মধ্যি আমারে জড়াই নিবা একটু?তোমার বুকের লগে বুক মিলাইয়া,চোখের উপর চোখ রাইখা,তোমার কোলে মাথা রাইখা আমি যে একটু ঘুমাইবার চাই।তুমি আমার মাতায় হাত বুলাইয়া দিবা না?কও...
আমার দুনিয়ার কোনো কিছুই আর ভালা লাগে না,বিশ্রী লাগে!হগ্গল কিছু আমারে সুখ দিবার পারে না,শান্তি দিবার পারে না।তুমি ছাড়া আমার যে আর কেউ নাই।তুমি কাছে নাই বইলাই তো আমার এত দুঃখ,এত যন্ত্রণা,এত অসুখ,পরানডা জুইড়া খালি হাহাকার!